কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার
কৈশোরকালীন পরিবর্তনসমূহ
১. কিশোর-কিশোরীদেরকে কেন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে জানা দরকার?
উত্তর: কৈশোরকাল শুরু হয় ১০ বৎসর বয়স থেকে, এই সময় বিভিন্ন শারিরীক পরিবর্তনের সাথে সাথে তার মানসিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এইসব পরিবর্তন কিশোর-কিশোরীদের আচরণের উপর প্রভাব ফেলে, যার ছাপ তাদের স্বাস্থ্যের উপর পড়ে। বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীরা প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে, তাই এই সময় থেকেই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রয়োজন। প্রজনন সক্ষম হবার সাথে সাথেই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারলে কিশোর-কিশোরীরা সঠিকভাবে নিজেদের যত্ন নিতে পারবে। তারা এ শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সুস্থ-সুন্দর ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে তুলতে পারবে ও ভুল পথে পরিচালিত হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।
২. কেন কিছু কিছু ছেলে-মেয়ে দ্রুত বয়ঃসন্ধিকালে পৌছায় এবং অন্যরা দেরিতে?
উত্তর: কিছু কিছু ছেলে-মেয়ে দ্রুত বয়ঃসন্ধিকালে পৌছায়, কারো ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হয়। এটা স্বাভাবিক ঘটনা, এতে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ একেকজন মানুষের পরিবেশ, পুষ্টি, পরিবার ও শরীর একেক রকম। একজন মানুষের বেড়ে ওঠা নির্ভর করে তার শরীরের গঠন ও পুষ্টির ওপর।
৩. কেন ছেলে ও মেয়ে একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীরদের শারিরীক ও মানসিক পরিবর্তন হয় এবং শরীরে হরমোন তৈরি হয়। এই হরমোনকে সেক্স হরমোন বলে। এর প্রভাবে শারীরিক পরিবর্তন আসে এবং মনের পরিবর্তনের মাধ্যমে একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয় যা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
৪. বয়:সন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের কী কী পরিবর্তন গুলো ঘটে?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসাবে হরমোন নামক রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়, যার ফলশ্রুতিতেই এই বয়ঃসন্ধিকালীন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। পরিবর্তন গুলি নিম্নরূপ:
শারীরিক পরিবর্তন
মানসিক পরিবর্তন
- মনে নানা প্রশ্ন ও কৌতুহল জাগে
- বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে
- লাজুক ভাব দেখা দেয় ও সংকোচ বোধ করে
- আবেগপ্রবণ হয় এবং স্নেহ-ভালোবাসা পেতে চায়
- বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গ এবং তাদের প্রতি নির্ভরতা বাড়ে
- স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে চায়
- বড়দের মতো আচরণ করতে চায়
- ভাবুক ও কল্পনাপ্রবণ হয়
মাসিক ব্যবস্থাপনা
১. মেয়েরা যখন বড় হতে থাকে তখন কেন তাদের মাসিক শুরু হয়?
উত্তর: মেয়েদের শরীরের বিশেষ পরির্বতন হিসেবে মাসিক শুরু হয়, এ পরিবর্তনটি সেক্স হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। প্রতি মাসে মেয়েদের যোনিপথ দিয়ে যে রক্ত বের হয় তাকেই মাসিক বলে। মাসিক চক্রাকারে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলতে থাকে। মেয়েদের ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সে যেকোনো সময় মাসিক শুরু হয় যাকে মেনার্কি এবং ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে তা স্বাভাবিক নিয়মেই বন্ধ হয়ে যায় যাকে মেনোপেজ বলে।
২. মেয়েদের মাসিকের সময় মাঝে মাঝে ব্যাথা হয় এবং ব্যাথা হলে করণীয় কী?
উত্তর: মাসিকের সময় অনেকের পেট ব্যথা করে। মাসিকের সময় জরায়ুর সংকোচন ও প্রসারণের জন্য এটি হয়ে থাকে। এসময় ব্যথার ঔষধ খেলে, হালকা ব্যায়াম করলে, গরম পানির সেঁক দিলে বা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ব্যথা কমে যায়। যদি বেশি ব্যথা করে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩. মাসিক কখনোও কখনোও কম বেশি হয়, এর কারণ কী?
উত্তর: স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মাসেই মাসিক হয় এবং তা ১ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়। সাধারণত মাসিক চক্রটি ২৮ দিনের হয়, কিন্তু এ চক্রটি ২১-৩৫ দিনেরও হতে পারে। এর কোনোটাই অস্বাভাবিক নয়। তবে মাসিক চক্র শুরু হওয়ার প্রথম দুই বছরে অনিয়মিত মাসিক হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এছাড়াও বিভিন্ন শারিরীক ও মানসিক কারণে মাসিক কখনোও কখনোও কম বেশি হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে মাসিকের তারতম্য হয়ে থাকে। মাসিক বন্ধ থাকলে, একমাসে ২/৩ বার মাসিক হলে, প্রচুর রক্তক্ষরণ বা প্রচন্ড ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলতে হবে ।
৪. মাসিকের সময় ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড বা কাপড় কতক্ষন ব্যবহার করা যাবে এবং কিভাবে ফেলতে হবে?
উত্তর: মাসিকের সময় স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করাই স্বাস্থ্যসম্মত। প্যাডের পরিবর্তে কাপড়ও ব্যবহার করা যেতে পারে। মাসিকের সময় ব্যবহৃত কাপড় ধুয়ে আবার ব্যবহার করা যাবে। তবে ব্যবহৃত কাপড় সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে। প্যাডের ক্ষেত্রে একটি প্যাড মাত্র একবারই ব্যবহার করা যায়। রক্তস্রাবের পরিমাণ অনুযায়ী স্যানিটারী ন্যাপকিন বা কাপড় দিনে অন্ততপক্ষে ৪ থেকে ৬ বার বদলাতে হতে পারে এবং কাগজে মুড়িয়ে ডাস্টবিনে বা ময়লা ফেলার গর্তে ফেলতে হবে।
৫. কি কারণে মাসে দুইবার মাসিক হয়?
উত্তর: মাসের ১ তারিখে মাসিক হলে ২৯ তারিখে আবার মাসিক হতে পারে, তবে এটা স্বাভাবিক। এছাড়া অনিয়মিত মাসিকচক্রের কারণে মাসে দুইবার মাসিক হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি অনিয়মিত ব্যবহারের ফলে দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে রক্তপাত হয়ে থাকে। কারও কারও ক্ষেত্রে মাসিক চক্র ২৮ দিনের কম হলে মাসে দুইবার মাসিক হতে পারে।
৬. অনেকের তার সমবয়সিদের তুলনায় দেরিতে মাসিক শুরু হয়, এটি কী কোন সমস্যা?
উত্তর: অনেকের তার সমবয়সিদের তুলনায় দেরিতে মাসিক শুরু হয়, এতে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ একেকজন মানুষের শরীর একেক রকম। এটি মূলত নির্ভর করে তার শরীরের গঠন, হরমোনের প্রভাব ও বংশধারার ওপর। তবে ১৬ বছরের মধ্যে মাসিক শুরু না হলে একজন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের শরাণাপন্ন হওয়া উচিত।
৭. মাসিকের সময় রক্তস্রাব ছাড়াও আর কী কী সমস্যা হতে পারে?
উত্তর: মাসিকের সময়টাতে শরীরে ও মনে অস্বস্তিভাব হওয়া, অল্পতেই মেজাজ খারাপ হওয়া এবং চলা-ফেরায় বিব্রতভাব দেখা দেওয়া এই সমস্যা গুলি হতে পারে যা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। মানসিকভাবে এই শারীরিক পরিবর্তনকে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রথম দিকে একটু সমস্যা হলেও আস্তে আস্তে তা কেটে যায়।
৮. মাসিক কী বন্ধ রাখা যায়? বা মাসিকের সময় কিভাবে পরিবর্তন করা যায়?
উত্তর: যদি মাসিকচক্র নিয়মিত হয় তবে খাবার বড়ি বা বিকল্প হরমোন ট্যাবলেট দিয়ে মাসিক বন্ধ বা বিলম্বিত করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা বা পরিবার পরিকল্পনা সেবাপ্রদানকারীর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন ঔষধের মাধ্যমে মাসিক বন্ধ বা পরিবর্তন করলে পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে তাই এটি না করাই ভালো।
৯. মাসিকের সময় সহবাস করা যাবে কি?
উত্তর: মাসিক বা ঋতুস্রাবের সময় যৌন মিলন করলে ক্ষতি হয় না, তবে এই সময়টিতে তুলনামূলকভাবে যোনিপথের পরিবেশ জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার জন্য সহায়ক থাকে। এ সময়ে জরায়ুমুখ উন্মুক্ত হয় এবং যোনিপথের আবরণ দূর্বল থাকে, ফলে জীবাণুসমূহ অসংখ্য রক্তনালীগুলির মাধ্যমে রক্ত প্রবাহে সরাসরি প্রবেশ করতে পারে, যা ঋতুস্রাবের সময় সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ায়।
১০. মাসিক চলাকালীন সময়ে কী এমন কোন খাবার আছে যা গ্রহন করা উচিৎ নয়?
উত্তর: মাসিক চলাকালীন সময়ে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন বিধি-নিষেধ নেই। মাসিক চলাকালীন অনেক কিশোরীকে টক, ঝাল, বেগুন, মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি খেতে নিষেধ করা হয়। এইগুলো ভ্রান্ত ধারণা। একটি শারীরিক প্রক্রিয়ায় মাসিক সম্পন্ন হয়। এখানে শরীর থেকে কিছু পুষ্টি উপাদান রক্তাকারে বের হয়ে যায় ও শারীরিক ক্ষয় হয়। এই পর্যায়ে কোন মতেই কম খাওয়া উচিত নয় বরং শরীরের পুষ্টি ঠিক রাখতে মাসিক চলাকালীন সময়ে বাড়তি খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে আয়রণ , আমিষ ও ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার। এছাড়াও এসময় বেশি পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন।
স্বপ্নে বীর্যপাত
১. স্বপ্নে বীর্যপাত কী?
উত্তর: স্বপ্নে বীর্যপাত যা স্বপ্ন দোষ নামে পরিচিত এটি এমন একটি বিষয় যা নিজের কাছে বিব্রতকর বা বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে, তবে এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শরীরে কিছু হরমোন তৈরি হয় যেগুলো বীর্য তৈরি করে। এই বীর্য কখনো কখনো ঘুমন্ত অবস্থায় যৌনাঙ্গ দিয়ে বের হয়ে আসে, এটিই স্বপ্নদোষ বা স্বপ্নে বীর্যপাত। সামাজিকভাবে এটিকে স্বপ্নদোষ বলা হলেও এখানে দোষের কিছু নেই।
২. স্বপ্নদোষ বা স্বপ্নে বীর্যপাত হলে ছেলেদের কি করনীয়?
উত্তর: স্বপ্নদোষ বা স্বপ্নে বীর্যপাত একটি স্বাভাবিক শারীরিক পরিবর্তন, তাই স্বপ্নদোষ হলে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই।এটি কোন রোগ না। তাই এতে স্বাস্থ্যর ক্ষতিরও কোন কারণ নেই। এসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। পুষ্টিকর খাবার ও খেলাধুলার দিকে মনোযোগি হতে হবে।
৩. স্বপ্নদোষ বা স্বপ্নে বীর্যপাত না হলে কি কোন সমস্যা?
উত্তর: স্বপ্নে বীর্যপাত একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটি কোন সমস্যা নয় এবং কোন চিন্তারও বিষয় নয়। প্রত্যেকের জীবনেই যে এটি ঘটবে এমনটি নয়। স্বপ্নদোষ বা স্বপ্নে বীর্যপাত যেমন একটি স্বাভাবিক ঘটনা তেমনি এটি না হওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এটি না হওয়া অর্থ যৌন কর্মে অক্ষম বা অস্বাভাবিকতা বুঝায় না। এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।
গর্ভনিরোধ/পরিবার পরিকল্পনা
১. নব-বিবাহিত কিশোরী দীর্ঘ সময়ের জন্য সন্তান নিতে না চাইলে পদ্ধতি গ্রহণের বিষয়ে তার জন্য উপযুক্ত পরামর্শ কি?
উত্তর: কিশোরী বয়সে বিবাহ ঠিক নয়। আইনত: ১৮ বৎসর বয়সের আগে বিবাহ দন্ডনীয় অপরাধ। তারপরও বিবাহ হলে, বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীতে নব-বিবাহীত বা যাদের কোন সন্তান নেই এমন দম্পতিদের জন্য ৩টি পদ্ধতি রয়েছে, যেমন- কনডম, খাবার বড়ি ও ইমপ্ল্যান্ট। যে কোন দম্পতি স্বেচ্ছায় উল্লেখিত যে কোন পদ্ধতি নিতে পারে। তবে কোন দম্পতি যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য সন্তান নিতে না চান তাকে ইমপ্ল্যান্ট নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
২. জরুরী গর্ভনিরোধক বড়ি যদি বার বার খাওয়া হয়, তবে এটি কী ক্ষতি করে?
উত্তর: জরুরী গর্ভনিরোধক বড়ি পরিবার পরিকল্পনার কোন পদ্ধতি নয়। এটি অনাকাংখিত গর্ভধারণ প্রতিরোধ করে। অনিরাপদ যৌনমিলনের ১২০ ঘন্টা বা ৫ দিনের মধ্যে গ্রহণ করতে হয়। ঘন ঘন এই বড়ি ব্যবহার করলে শরীরে হরমোনের তারতম্য ঘটে যা তার মাসিককে অনিয়মিত করে। ঘন ঘন জরুরী গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার না করে সেবাদানকারীর সাথে পরামর্শ করে উপযুুক্ত পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত।
৩. বেশী সুরক্ষার জন্য যৌন মিলনের সময় একের অধিক কনডম ব্যবহার করা দরকার আছে কি?
উত্তর: না, বেশি সুরক্ষার জন্য একবারে একের অধিক কনডম ব্যবহার করা উচিত নয়। কেননা এতে একটি ব্যবহারের চেয়েও কম সুরক্ষা দেয়। কারণ দুটি কনডমের ঘর্ষনের ফলে এটি দুর্বল হয়ে ফুটো হয়ে যেতে পারে। তাই কখনও সহবাসের সময় দুটি কনডম একসাথে ব্যবহার করা উচিত নয়।
৪. বড়ি খাওয়া ভুলে গেলে কী করতে হবে?
উত্তর:
- মিশ্র খাবার বড়ি খেতে ভুলে গেলে করণীয়:-
-
-
- যদি একদিন বা দুই দিন বড়ি খেতে ভুলে যায় তাহলে যখনই মনে পড়বে তখনই একটি বড়ি খাবে এবং ঐ দিনের বড়িটিসহ পাতার অন্য বড়িগুলি যথাসময়ে খেতে হবে
- যদি মাসিকের প্রথম এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে পর পর ৩ দিন বড়ি খেতে ভুল হয়ে যায়, তবে মনে পড়ার সাথে সাথে একটি বড়ি খেতে হবে এবং ঐদিনের বড়ি নির্দিষ্ট সময় খেতে হবে। পাতার বাকি বড়িগুলো নিয়মিত শেষ করতে হবে। পরবর্তী সাত দিন তার স্বামী কনডম ব্যবহার করবে অথবা স্বামীর সাথে সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে জরুরী গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার করতে হবে, যদি ৫ দিনের মধ্যে সহবাস করে।
- যদি মাসিকের তৃতীয় সপ্তাহে পর পর ৩ দিন বড়ি খেতে ভুলে যায়, তবে মনে পড়ার সাথে সাথে একটি বড়ি খেতে হবে এবং ঐ দিনের বড়ি নির্দিষ্ট সময় খেতে হবে। পাতার সাদা বড়িগুলো নিয়মিত শেষ করতে হবে। পরের দিন থেকে নতুন পাতার বড়ি শুরু করতে হবে। পরবর্তী সাত দিন তার স্বামী কনডম ব্যবহার করবে অথবা স্বামীর সাথে সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে জরুরী গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার করতে হবে, যদি ৫ দিনের মধ্যে সহবাস করে।
- শুধুমাত্র প্রজেস্টিনসমৃদ্ধ খাবার বড়ি খেতে ভুলে গেলে:-
-
-
- বড়ি খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে মনে পড়ার সাথে সাথে ভুলে যাওয়া বড়িটি খেতে হবে এবং পরবর্তী বড়িগুলো নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে
- বড়ি খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় থেকে তিন ঘন্টা বিলম্বের ক্ষেত্রে মনে পড়ার সাথে সাথে ভুলে যাওয়া বড়িটি খেতে হবে এবং ঐ দিনের বড়িটি যথাসময়ে খেতে হবে। সহবাসের ক্ষেত্রে পরবর্তী দুই দিন কনডম ব্যবহার করতে হবে অথবা সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়ের মাসিক শুরু না হলে দুই দিন কনডম ব্যবহার করা লাগবে না।
৫. সহবাসের সময় কনডম ফেটে গেলে, কী করা উচিত?
উত্তর: সহবাসের সময় কনডম ফেটে গেলে কনডমের কার্যকারীতা থাকে না। এক্ষেত্রে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ থেকে রক্ষা পেতে চাইলে ১২০ ঘন্টার বা ৫ দিনের মধ্যে জরুরী গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার করতে হবে।
৬. এক সন্তান আছে এমন কিশোরী মায়েদের জন্য কোন পদ্ধতি উপযুক্ত?
উত্তর: বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীতে যাদের একটি সন্তান আছে এমন দম্পতিদের জন্য ৫ টি পদ্ধতি রয়েছে, যেমন: কনডম, খাবার বড়ি, ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডি। তবে কোন দম্পতি দীর্ঘ সময়ের জন্য সন্তান নিতে না চাইলে তাকে ৩বা ৫ বৎসর মেয়াদি ইমপ্ল্যান্ট অথবা ১০ বৎসর মেয়াদি আইইউডি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
৭. সন্তান নেই এমন বিবাহিত কিশোরীদের কোন পদ্ধতির জন্য পরামর্শ দেওয়া যায়?
উত্তর: বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীতে যাদের কোন সন্তান নেই এমন দম্পতিদের জন্য ৩টি পদ্ধতি রয়েছে, যেমনকনডম, খাবার বড়ি ও ইমপ্ল্যান্ট। তবে কোন দম্পতি দীর্ঘ সময়ের জন্য সন্তান নিতে না চাইলে তাকে ইমপ্ল্যান্ট নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
৮. বাড়িতে সন্তান প্রসবের পরই একজন কিশোরী মাকে পরিবার পরিকল্পনার কোন পদ্ধতির জন্য পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে?
উত্তর: বাড়িতে সন্তান প্রসবের পরই একজন কিশোরী মাকে নিম্নলিখিত পদ্ধতির জন্য পরার্মশ দেওয়া যেতে পারে-
-
- বুকের দুধ নির্ভর পদ্ধতি বা ল্যাকটেশনাল এ্যামোনেরিয়া মেথড (ল্যাম)
- শুধুমাত্র প্রজেস্টিনসমৃদ্ধ খাবার বড়ি (আপন)
- কনডম
*অন্যান্য পদ্ধতির গ্রহণের জন্য তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
৯. হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পরই একজন কিশোরী মাকে পরিবার পরিকল্পনার কোন পদ্ধতির জন্য পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে?
উত্তর: হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পরই একজন কিশোরী মাকে বিভিন্ন পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির জন্য পরার্মশ দেওয়া যেতে পারে। এটি নির্ভর করবে ঐ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কি ধরনের পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি আছে তার উপরে। সাধারণত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে সকল পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি পাওয়া যায় তাহলো - ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্ট, আইইউডি। দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়ে যদি সিন্ধান্ত নিয়ে থাকে তবে তার স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে (টিউবেকটমি ও এনএসভি)। এছাড়াও বুকের দুধ নির্ভর পদ্ধতি বা ল্যাকটেশনাল এ্যামোনেরিয়া মেথড (ল্যাম), কনডম, শুধুমাত্র প্রজেস্টিনসমৃদ্ধ খাবার বড়ি (আপন) গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
১০. যদি স্বামী ও স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একই হয় তাহলে সন্তানদের জন্য কোন সমস্যা তৈরি করবে?
উত্তর: স্বামী ও স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একই হলে সাধারণত কোন সমস্যা তৈরি হয় না। তবে স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ এবং স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি পজেটিভ হয়, সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ, যৌনবাহিত সংক্রমণ
এইচআইভি/এইডস
১. কিশোর-কিশোরীদের মাঝে যৌনরোগের বা প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ হলে কিভাবে বোঝা যাবে?
উত্তর: যৌনরোগের বা প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণসমূহ এর মাধ্যেমে রোগ সম্পর্কে ধারণা করতে হবে। যেমন:
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যৌনরোগের লক্ষণ বোঝা যায় না। বিশেষ করে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের এই লক্ষণগুলো অপ্রকাশিত থাকে। তাই চিকিৎসা নিতে তারা অনেক দেরি করে ফেলে, যা থেকে জটিলতাও হতে পারে।
২. প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ ও যৌনবাহিত সংক্রমণ এর ব্যাপারে যদি কিশোর-কিশোরীদের মাঝে কেন সচেতনেতা প্রয়োজন?
উত্তর: জৈবিক ও সামাজিক উভয় কারণে প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে কিশোরীদের যৌনবাহিত সংক্রমণ আক্রান্তÍ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, কৈশোরে শরীরের প্রতিরক্ষামূলক ও হরমোনজনিত কার্যসাধনের গঠনপ্রক্রিয়া পুরোপুরি হয় না। কৈশোরকালে (বিশেষ করে কৈশোরকালের প্রাথমিক পর্যায়ে) মিউকাস ঝিল্লীর অপর্যাপ্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং অপরিণত জরায়ুমুখ/সার্ভিক্স থাকে তাই খুব সামান্যই এ ধরনের সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। বরং যোনিপথের পাতলা আস্তরণ ও স্বাস্থ্যবিষয়ক অসচেতনতা সংক্রমণের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে।
৩. কিশোর-কিশোরীদের মাঝে কী কী কারণে প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ ও যৌনবাহিত সংক্রমণ হতে পারে?
উত্তর: বিভিন্ন কারনে প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ ও যৌনবাহিত সংক্রমণ হতে পারে।
-
- ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে, যেমন : মাসিকের প্যাড বা কাপড় অপরিষ্কার বা জীবাণুযুক্ত হলে বা সহবাসের পর যৌনাঙ্গ পরিষ্কার না করলে, অপরিষ্কার অন্তর্বাস পরলে এসব সংক্রমণ হতে পারে।
- স্ত্রী প্রজননতন্ত্রে স্বাভাবিকভাবেই কিছু জীবাণু থাকে, এই জীবাণুগুলোর অতিরিক্ত বৃদ্ধির ফলে প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ হতে পারে। যেমন: ক্যানডিডিয়াসিস/মোনিলিয়াসিস, ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস ইত্যাদি ।
- বিশ্বস্ত সঙ্গী ছাড়া বা একাধিক সঙ্গীর সাথে কনডম ছাড়া যৌনমিলন করাকে অনিরাপদ যৌনমিলন বলে এবং এতে যৌন সংক্রমণ হতে পারে। যেমন: এইডস, গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি।
- অনিরাপদ প্রসব ব্যবস্থাপনা, অনিরাপদ গর্ভপাত বা কোন ধরনের অপারেশন এর কারণেও তলপেটে জীবাণুর প্রবেশ ঘটে সংক্রমণ হতে পারে।
- মা সংক্রমিত হলে তার থেকে বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থায় বা বাচ্চার জন্মের সময় বা জন্ম হওয়ার পরেও রোগের সংক্রমণ হতে পারে। যেমন : এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া।
৪. প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ ও যৌনবাহিত সংক্রমণ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সেবাদানকারীর করনীয় কি?
-
- বর্তমানে যৌনবাহিত সংক্রমণে আক্রান্ত কিশোর-কিশোরীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মত একই ব্যবস্থা পাচ্ছে। যদিও কিশোরকিশোরীদের বিশেষ কিছু প্রয়োজন আছে এবং রোগ নির্ণয় ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের চাইতে কঠিন।
- মূল চ্যালেঞ্জ হলো সংক্রমিত ব্যক্তি বিশেষকে চিহ্নিত করা ও তাকে চিকিৎসা করে ভাল করে তোলা, যাতে সে আর অন্যকে সংক্রমিত করতে না পারে।
- আদর্শ হলো ঝুঁকি নির্ণয় কৌশল অবলম্বন করে বাছাইকরণ (Screening) পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা প্রদান করা।
- কিশোর-কিশোরীদেরকে এই ধরনের যথার্থ চিকিৎসা প্রদান করতে হলে কিশোর-কিশোরীরা যে এলাকায় বসবাস করে সে এলাকার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক (জেন্ডার বিষয়সমূহ) প্রেক্ষাপট ভালভাবে জানা থাকা উচিত (সূত্র: Baseline HIV/AIDS Survey Among Youth in Bangladesh, icddr,b 2005)
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌনবাহিত সংক্রমণ ব্যবস্থাপনায় সিনড্রোমিক ব্যবস্থাপনার কৌশল সুপারিশ করেছে। যৌন সংক্রমণের সিনড্রোমিক ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় এইচআইভি এইডস কর্মসূচির গাইডলাইন ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ব্যবস্থাকে নিরুৎসাহিত করছে।
৫. কৈশোরকালীন সাদাস্রাব, এটা কি কোন সমস্যা? এই ক্ষেত্রে কিশোরীদের কি করনীয়?
উত্তর: মেয়েরা যখন বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছে তখন তাদের যোনিপথ থেকে এক ধরণের স্বচ্ছ সাদা বা হালকা হলদেস্রাববের হয়। স্রাব কখনো শুষ্ক ও আঠালো, আবার কখনো ভেজা ও পাতলা হতে পারে। স্রাবের পরিমাণ কারো ক্ষেত্রে কম আবার কারো ক্ষেত্রে বেশি হতে পারে। যোনিস্রাব বের হওয়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার তাই এর জন্য চিন্তিত হবার বা চিকিৎসা নেওয়ার কোনো দরকার নেই। তবে যোনিপথে গন্ধযুক্ত সবুজ বা হলুদস্রাব বের হলে, চুলকানি ও জ্বালাপোড়া হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এটি যোনিপথ বা জরায়ুর সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
৬. প্রস্রাব জ্বালা-পোড়া হলে করণীয় কী?
উত্তর: বিভিন্ন কারণে প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া হতে পারে। যেমন- পানি কম খাওয়া, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকা। প্রজননতন্ত্রে কোন সংক্রমণের কারণেও প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, নিয়মিত গোসল করতে হবে, বিশেষ করে মাসিকের সময়। মাসিকের সময়, সময়মতো ন্যাপকিন/প্যাড পরিবর্তন করতে হবে (৪-৫ ঘন্টা পর পর)। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৭. সহবাসে কি ব্যথা হয়?
উত্তর: সাধারণত সহবাসের সময় কোন ব্যথা হয় না। তবে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হতে পারে। যেমন- কম বয়স, সহবাসের ইচ্ছার অভাব, জোরপূর্বক সহবাস, তলপেটে প্রদাহ ইত্যাদি । যে কোন কারণে সহবাসে ব্যথা হলে একজন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর সাথে পরামর্শ করতে হবে।
এইচআইভি
১. এইডস এবং এইচআইভি এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর: এইচআইভি একটি জীবাণু এবং এইডস একটি রোগ যা এইচআইভি জীবাণু দিয়ে হয়। এইচআইভি অর্থ হচ্ছে,
H =হিউম্যান (মানুষের)
I = ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস)
V = ভাইরাস (জীবাণু)।
অর্থ্যাৎ এইচআইভি হলো এমন একটি জীবাণু যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে। এইডস বলতে বোঝায়-
A = এ্যাকোয়ার্ড (অর্জিত)
I = ইমিউন (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা)
D = ডেফিশিয়েন্সি (হ্রাস)
S = সিনড্রোম (অবস্থা)
অর্থ্যাৎ বিশেষ কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার অবস্থাকে এইডস বলে।
২. কিভাবে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
উত্তর: এইচআইভি ভাইরাস বিভিন্নভাবে একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়াতে পারে। যেমন:
- যার শরীরে এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে তার সাথে যেকোন ধরণের যৌনমিলন করলে (যেমন- যোনিপথে, পায়ুপথে ও মুখে এইচআইভি ভাইরাস ঐ ব্যক্তির শরীর থেকে তার যৌনসঙ্গীর শরীর ছড়িয়ে যায়)
- যার শরীর এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে তার রক্ত বা যেকোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্য কারো শরীরে দেয়া হলে
- এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা সুুঁচ, সিরিঞ্জ জীবাণুমুক্ত না করে ব্যবহার করলে
- যেসব গর্ভবতী মায়ের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে সেই মায়ের কাছ থেকে-
১) গর্ভাবস্থায়,
২) প্রসবের সময় বা
৩)বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর মধ্যে এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।