মুখবন্ধ
কিশোরকিশোরীদের সার্বিক কল্যানের লক্ষ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর সাইকোসোশ্যাল ওয়েলবিয়িং সেন্টার ২০১৬ সালে “টিচার প্লাস মডেল” নামে একটি গবেষা প্রকল্প পরিচালনার উদ্যোগ নেয়। এ লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গবেষনা পরিচালনা করা হয় এবং এ উদ্দেশ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষকদের মাধ্যমে কিশোরকিশোরীদের মনোসামাজিক শিক্ষা প্রদান করা এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন করা। গবেষণা প্রকল্পের সাথে জড়িত গবেষক, লেখক ও মনোসামাজিক কাউন্সেলরদের নিবেদিত শ্রমই মনোসামাজিক শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণকে সফল করেছে। এই প্রশিক্ষণটি পরিচালনার জন্য একটি শিক্ষক সহায়িকা তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ সহায়িকাটি রিভিউ সাপেক্ষে ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রালয়ের ১৬১ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও ইউনিসেফ এর উদ্যোগে ও নেদারল্যান্ড দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর এ সহায়িকাটি পনরায় রিভিউ করা হয়।
ভূমিকা
আমাদের দেশে বর্তমানে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত কারণে কিশোরকিশোরী ও তরুতরুণীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ও মানসিক জটিলতা দেখা দেয়। অতীতে আমরা শুধমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যা করাও গুরুত্বর্পূ হয়ে উঠেছে। শারীরিক সুস্থতা তখনই সম্ভব যখন কিনা ব্যক্তির দেহ ও মনের পরির্পূ সমন্বয় ঘটে। শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে যেমন পরিচর্যা প্রয়োজন তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য মনোসামাজিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। গবেষায় দেখা গিয়েছে যে, মনোসামাজিক সহায়তা গ্রহণের ফলে কিশোরকিশোরী ও তরুণতরুণীরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাদের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন।
মনোসামাজিক সহায়তা হল এমন এক ধরনের সহায়তা যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির আকস্মিক বিপর্যয়, বিপত্তি, উৎপীড়ন, নিপীড়নের ফলে যে মানসিক অবস্থার সৃষ্টি হয় তা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ও স্বাভাবিক জীবনে মানিয়ে নিতে সহায়তা করে। মনোসামাজিক সহায়তা ব্যক্তিকে তার প্রাত্যহিক জীবনে স্বাভাবিক কর্মকান্ড পরিচালনায় সহায়তা করে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করে।
মডিউল-১
বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যের র্বতমান পরিস্থিতি ও
স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য, মনোসামাজিক সহায়তা, মনোসামাজিক শিক্ষা
১) স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য, মনোসামাজিক সহায়তা
২) মনোসামাজিক সহায়তাকারী
৩) মনোসামাজিক শিক্ষা ও মনোসামাজিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
৪) মনোসামাজিক সহায়তাকারীর গুনাবলী
মডিউল-২
বয়সন্ধিকাল, কৈশোরকালীন শারীরিক পরিবর্তন এবং
কৈশোরকালীন মনোসামাজিক জটিলতাসমূহ
১) বয়ঃসন্ধিকাল কি ও কখন শুরু হয়
২) কৈশোরকালীন মনোসামাজিক পরিবর্তন
ক) সামাজিক পরিবর্তনসমূহ
খ) আবেগ জনিত/আবেগীয় পরিবর্তনসমূহ
৩) সামাজিক পরিবর্তন
ক) ব্যক্তিগত পরিচয় অনুসন্ধান করা
খ) স্বাধীনচেতা মনোভাব
গ) অধিক দায়িত্ব পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা
ঘ) ঝুঁকিগ্রহমূলক আচরণ
ঙ) সর্ম্পকজনিত বিষয়াবলী
৪) আবেগীয় পরিবর্তন
ক) আত্মসম্মানবোধ
খ) আবেগীয় সংকট
গ) বিদ্রোহী আচরণ
ঘ) সহপাঠীর প্রভাব
ঙ) পড়াশোনায় ব্যাঘাত
চ) যোগাযোগের অভাব
ছ) প্রাতিষ্ঠানিক সফলতা অর্জনে জটিলতা
জ) মাদক গ্রহণ ও অন্যান্য আসক্তি
ঝ) সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতা
মডিউল- ৩
আবেগ ব্যবস্থাপনা
১) আবেগ
২) কেন আবেগ ব্যবস্থাপনা করা গুরুত্বপূর্ণ
৩) আবেগ ব্যবস্থাপনার কৌশল
৪) উদ্বেগ
৫) উদ্বেগের কারন
ক) মানসিক লক্ষণ
খ) শারীরিক লক্ষণ
গ) আচরগত লক্ষণ
৬) মানসিক উদ্বেগ থেকে বের হয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপায়
৭) সামাজিক উদ্বেগ
৮) সামাজিক উদ্বেগের লক্ষণ
৯) সামাজিক উদ্বেগ থেকে বের হয়ে আসার উপায়